02. Poriborton
অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে জুম বাংলাদেশের একটি চলমান প্রজেক্ট
পরিবর্তন প্রজেক্টঃ
অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে জুম বাংলাদেশের একটি চলমান প্রজেক্ট।। জুম বাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন—এর অন্যতম প্রজেক্ট “পরিবর্তন”। এই প্রজেক্টের আওতায় বাস্তুহারাদের জন্য ঘর নির্মাণ, অসহায় মানুষদের স্বাবলম্বীকরণ সহ আরও কিছু ব্যতিক্রমধর্মী সহযোগিতা করা হচ্ছে। পরিবর্তন মাধ্যমে জুম বাংলাদেশ অসহায় মানুষদের জীবনমানে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। জুম বাংলাদেশ শুধু সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের লেখাপড়াই শেখায় না বরং পড়াশোনার বাইরেও দরিদ্র বিমোচন ও অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করতে ২০১৬ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে । শিশুদের জন্য মান সম্পন্ন শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের জীবনে দীর্ঘমেয়াদী টেকসই পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ভিন্নধর্মী এই প্রজেক্ট টি হাতে নেয়া হয়। প্রায় ৬ শতাধিক পথশিশুদের ডাটাবেস বিশ্লেষণ করে দেখা যায় পারিবারিক ভাবে অসচ্ছলতার কারণে শিশুরা পথে নেমে আসে, যুক্ত হয় নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে। দিনশেষে যেহেতু প্রতিটি শিশুই কোনো না কোনো পরিবার থেকে উঠে আসে আর তাই এই শিশুদের জীবনে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পরিবর্তন আনতে হলে, পরিবর্তন আনতে হবে শিশুদের পরিবারের মাঝে। সে লক্ষ্যে জুম বাংলাদেশ পরিবর্তন প্রজেক্ট—এর মাধ্যমে অসহায় মানুষ ও সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে কাজ করে যাচ্ছে। সেখান থেকে কয়েকটি গল্প নিচে তুলে ধরা হলঃ
পরিবর্তন-০১
অসহায় শতবর্ষী কুলসুম বেগমকে একটি ঘর তৈরি করে দেওয়ার মাধ্যমে পরিবর্তন প্রজেক্ট—এর যাত্রা শুরু হয়। অসহায় কুলসুম বেগমের এই পৃথিবীতে আপন বলতে কেউ নেই। অসহায়ের মতো রাস্তার পাশে তেরপালের নিচে জীর্ণ শীর্ণ হয়ে বাস করতেন তিনি । সেখানে খুব কষ্টে দিন কাটাতেন তিনি । তার এই কষ্ট দেখে তাকে বসবাস করার জন্য সেখানে একটি ঘর বানিয়ে দেওয়া হয় । পাশাপাশি তার ভরণপোষনের সমস্ত দায়িত্ব কাধে নিয়েছে জুম বাংলাদেশ ।
পরিবর্তন-০৮
সেগুনবাগিচার বস্তিতে থাকেন শারীরিক প্রতিবন্ধী আলেক মিয়া। শারীরিক সক্ষমতা না থাকায় তার প্যাডেল চালিত রিক্সা চালাতে ভীষণ কষ্ট হত। তাই তিনি জুম বাংলাদেশ এর কাছে আকুতি জানিয়েছিলেন তাকে একটি ব্যাটারিচালিত রিক্সা দিয়ে সহযোগিতা করার। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে তার পাশে এসে দাঁড়ায় জুম বাংলাদেশ । পরিবর্তন প্রজেক্ট ৮ এর মাধ্যমে ব্যাটারি চালিত রিক্সা প্রদান করা হয় ।
পরিবর্তন-১০
ঢাকার হাইকোর্ট মাজার গেইটে পান ও সিগারেট বিক্রি করতেন রাশিদা বেগম। দিনে যে অল্প টাকা উপার্জন করতেন তা দিয়ে কোনোভাবে সংসার খরচ চালাতেন। ৪ মেয়েকে নিয়ে ভীষণ কষ্টে থাকতে হত তার । রাশিদা বেগমের ৪ মেয়েই জুম বাংলাদেশ স্কুলের হাইকোর্ট শাখার শিক্ষার্থীর এই আর্থিক দূরাবস্থায় তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় জুম বাংলাদেশ । রাশিদা বেগমকে পুজি সহ একটি চায়ের দোকান দিয়ে দেওয়া হয় যাতে তিনি তার মেয়েদের সুন্দর একটি ভবিষ্যত গড়তে পারেন ।
পরিবর্তন-১৫
স্বাধীন মিয়ার ছেলে মুন্না জুম বাংলাদেশ স্কুলে গত ৩ বছর যাবত পড়াশোনা করছে। মুন্নার স্বপ্ন বড় হয়ে একজন পুলিশ হওয়ার, কিন্তু অভাব অনটনের সংসারে তা কিছুতেই সম্ভব হয়ে উঠতে ছিলো না। স্বাধীন মিয়া পেশায় একজন রিক্সা চালক তিনি ভাড়ায় রিক্সা চালাতেন। প্রতিদিন মহাজনের কাছে রিক্সা জমা দেওয়ার পর যে অল্প কিছু টাকা তার কাছে থাকতো সেই টাকা দিয়ে সংসার এবং মুন্নার লেখা পড়ার খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছি না। মুন্নার স্বপ্ন পূরণের পথকে মসৃণ করতে মুন্নার বাবা স্বাধীন মিয়াকে পরিবর্তন প্রজেক্ট—১৫ এর আওতায় রিক্সা দেওয়া হয়।
পরিবর্তন-২০
জুম বাংলাদেশ স্কুল হাতিরঝিল শাখার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র কুলসুম। তার বাবা বয়সের ভারে নুয়ে পরা কর্মক্ষম আব্দুল জব্বার মিয়া। কুলসুম অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। তার স্বপ্ন বড় হয়ে সে একজন ডাক্তার হবে। তার সে স্বপ্ন পূরণের পথকে সহজ করতে তার বাবাকে রিক্সা দেয়া জুম বাংলাদেশ।
পরিবর্তন-২৫
গাইবান্ধা ডেভিড কোম্পানি পাড়ার আব্দুর রহমান চাচা ৪ সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে দীর্ঘদিন ধরে বাই সাইকেলে ফেরী করে বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করত। তার আক্ষেপ ছিল একটি ভ্যানগাড়ি থাকলে বেশি পরিমানে মালামাল বিক্রি করে সংসারের জন্য আয় করতে পারতো। এই কষ্টের কথা শুনে জুম বাংলাদেশ এর পরিবর্তন প্রজেক্ট—এর মাধ্যমে একটি ভ্যান গাড়ী দেয়া হয়। বর্তমানে তার সংসার মোটামুটি স্বচ্ছল। তার ৪ সন্তানের মধ্যে ৩ সন্তান মনিরুল, মোনতা ও ফারজানা জুম বাংলাদেশ স্কুল, গাইবান্ধা শাখায় পড়া লেখা করে।
পরিবর্তন-২৫
গাইবান্ধা ডেভিড কোম্পানি পাড়ার আব্দুর রহমান চাচা ৪ সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে দীর্ঘদিন ধরে বাই সাইকেলে ফেরী করে বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করত। তার আক্ষেপ ছিল একটি ভ্যানগাড়ি থাকলে বেশি পরিমানে মালামাল বিক্রি করে সংসারের জন্য আয় করতে পারতো। এই কষ্টের কথা শুনে জুম বাংলাদেশ এর পরিবর্তন প্রজেক্ট—এর মাধ্যমে একটি ভ্যান গাড়ী দেয়া হয়। বর্তমানে তার সংসার মোটামুটি স্বচ্ছল। তার ৪ সন্তানের মধ্যে ৩ সন্তান মনিরুল, মোনতা ও ফারজানা জুম বাংলাদেশ স্কুল, গাইবান্ধা শাখায় পড়া লেখা করে।
যার কয়েকটি গল্প আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র । ভবিষ্যতে এরকম হাজারো মানুষের জীবন পরিবর্তনের গল্প তৈরি করতে কাজ করে যাবে জুম বাংলাদেশ । অসহায় মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের যাত্রায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন । আপনার অনুদান বা যাকাতের অর্থ দিয়ে আপনিও শামিল হতে পারেন জুম বাংলাদেশের এই পথযাত্রায়।