শারমিনের বড় বড় অনুষ্ঠানে নাচে গানে মুদ্ধতা ছড়ানোর প্রতিভাটা শুরু হয়েছিলো জুম বাংলাদেশ স্কুলের হাত ধরেই। সময়টা ২০১৬, শারমিন যখন প্রথম জুম বাংলাদেশ স্কুলে আসে তখন এখানেই দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে ক্লাস শুরু করে। গতানুগতিক ধারার পড়াশোনার বাহিরে নৃত্য ও সংগীতের ক্লাসগুলোতে শারমিনের বেশী আগ্রহ দেখে তার প্রতিভা বিকশিত করতে সহায়তা করে জুম বাংলাদেশ। শারমিন তার মা—বাবার সাথে ঢাকায় একটি বস্তিতে থাকে। নিম্নবিত্ত পরিবারে নৃত্যশিল্পী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা শুধুই কল্পনার । তবুও শারমিন বুকভরা সাহস নিয়ে স্বপ্ন দেখে বড় নৃত্য শিল্পী হওয়ার।
জুম বাংলাদেশ স্কুলের সহায়তায় শারমিন এখন অন্য একটি স্কুলে ৮ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। অন্য স্কুলে পড়াশোনা করলেও জুম বাংলাদেশ স্কুলের সাথে সে ওতোপ্রোত ভাবে জড়িত। জুম বাংলাদেশ তার স্বপ্ন পুরণের লক্ষ্যে শারমিনের প্রতিভা বিকাশ ও প্রকাশে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
শুরুর দিনগুলোর কথা এখন তার খুব মনে পড়ে। প্রতিদিন স্কুল শেষে বন্ধুদের সাথে খুঁনসুটি খুব মিস করে।
শারমিনেরা ২ ভাই ২ বোন। বাবা পেশায় রঙ মিস্ত্রী, মা টেইলারিং এর কাজ করেন। শারমিনের বাবা—মা অনেক কষ্ট করে তাদের সংসার পরিচালনা করে। শারমিনের অন্য সব বন্ধুদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেলেও শারমিন সাহস করে এখনো পড়াশোনা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
শারমিন ইতিমধ্যে অনেক সাফলতা অর্জন করেছে এর মধ্যে একটি নৃত্য প্রতিযোগিতায় নাচে সেরা হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্জ জনাব মোঃ আখতারুজ্জামান খান এর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরির হাত থেকে জুম বাংলাদেশ স্কুলের সেরা শিক্ষার্থীর পুরষ্কার গ্রহণ করে।