জুম বাংলাদেশ স্কুলের নিয়মিত শিক্ষার্থী বিথি আক্তার তাসরিন। সে জুম বাংলাদেশ স্কুলে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে। জুম বাংলাদেশ স্কুলের সাথে তার পথচলা ২০১৮সাল থেকে। বিথির বাবা কৃষি কাজ করেন চাঁদপুরে। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বিথিরা পরিবারে ২ভাই ২বোন। অভাবের সংসারে শুধু কৃষি কাজ করে সংসার চলানো ভীষণ কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। বাধ্য হয়ে কাজের সন্ধ্যানে দুই মেয়েকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।
বিথি বলে, “ছোট বেলা থেইকা আমার পড়ালেখা করার ভীষণ ইচ্ছা। পড়তে আমার খুব ভালো লাগে কিন্তু গ্রামে কৃষিকাজ করে আব্বায় আমাগো সংসার চালাইতে পারে না ঠিকমতো দেইখা ঢাকায় আমার নানির কাছে পাঠায় দিসে। ভাবসিলাম আমার পড়াশোনা মনে হয় এইহানেই শেষ। কখনো ভাবি নাই আমি ঢাকায় আবার পড়াশোনা করতে পারমু। জুম বাংলাদেশ স্কুল আবার আমার পড়াশোনা করার সুযোগ কইরা দিছে।”
ঢাকায় আসার পর আশেপাশের কিছু মানুষের মাধ্যমে বিথি জানতে পারে জুম বাংলাদেশ নামে একটি স্কুল আছে যেখানে বিনামূল্যে পড়াশোনাসহ এক বেলার খাবার প্রদান করা হয়। এটা শুনে সে প্রথমে বিশ্বাস না করলেও পরে এই জায়গাটাকে সে তার স্বপ্ন পূরণের একটা ঠিকানা বানিয়ে নিয়ে নেয়। ২০১৮সাল থেকে বিথি জুম বাংলাদেশ স্কুলের একাডেমিক শাখার শিক্ষার্থী। স্যারদের আন্তরিকতায় সে আরো ভালো করে পড়াশোনা করতে পারার অনুপ্রেরণা পায় বিথি। জুম বাংলাদেশ স্কুলে আসার পর অনেক কিছু শিখতে পেরেছে। সে জুম বাংলাদেশ স্কুলে এসে নৃত্য শিখে এখন বিভিন্ন জায়গায় তার নৃত্যের প্রতিভা তুলে ধরছে।