এই শহরে বড় বড় দালান-কোঠার নিচে চাপা পরে আছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অজানা অনেক গল্প। তারা চাইলেও জীবনের বাইরে এসে কিছু করার চিন্তা করতে পারে না। গাইবান্ধা রেলওকলোনীর বস্তিতে বেড়ে ওঠা মনিরুল, ফারজানা ও মোনতা। অভাবের সংসারে বাবা-মায়ের পক্ষে সন্তানদের পড়ালেখা করানো সম্ভব নয়, তাই সংসারের ব্যয়ভার বহন করার জন্য বাবা-মা’কে সহায়তা করতে মনিরুল ও মোমতা পার্কে বেলুন ও পপকর্ণ বিক্রি করে।
বিষয়টি জুম বাংলাদেশ স্কুল গাইবান্ধা শাখার দায়িত্ব প্রাপ্তদের নজরে আসলে জুম বাংলাদেশ টিম মনিরুল, ফারজানা ও মোনতার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে। তাদের বাবা-মা জানায় “বাবা হামরা গরিব মানুষ ঠিক করে ভাত জুটে না কেংকা করে হামরা হামার ছলপল গুলাক স্কুলত পাঠামো স্কুলত পড়তে গেলে ম্যালা ট্যাকা পয়সার দরকার, স্কুল তো আর এমনি এমনি পড়বের দিবে নয়, তাই ছলপল গুলা একনা কামকাজ করতে দেই”। জুম বাংলাদেশ টিম তখন তাদের বলেন যদি সন্তানদের লেখাপড়া করানো হয় তবে তারা ভবিষ্যৎতে মানুষের মত মানুষ হবে। সংসারের হাল ধরতে পারবে। মানুষের মতো মানুষ হতে পারবে। পরবর্তীতে তাদের তিন ভাই-বোনকে গাইবান্ধায় জুম বাংলাদেশ গাইবান্ধা শাখার স্কুলে ভর্তি করানো হয়। তারা নিয়মিত স্কুলে আসে।
তাদের লেখাপড়া যাতে বন্ধ না হয়ে যায়। গত বছর তার বাবাকে একটি ভ্যান গাড়ি দেয়া হয়। যাতে তাদের পরিবার সাবলম্বী হতে পারে। তাদের লেখাপড়ার প্রবল ইচ্ছা শক্তি আছে, কিন্তু লেখাপড়ার সুযোগ না পাওয়ায় তারা বেলুন, পপকর্ণ বিক্রি করা পথ বেছে নিয়েছিলো। জুম বাংলাদেশ স্কুলে থেকে তাদের পরিবারকে সবসময় সহযোগিতা করা হয়। যাতে করে তাদের লেখাপড়ায় যেন কোন কারণে বন্ধ না হয়ে যায়। এরকম হাজারো মনিরুল, মোনতা ও ফারজানারা আমাদের চারপাশে ঘুরছে তাদেরকে শিক্ষার আওতায় আনতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।